উপকারের আশায় দুধ পানে যে কারণে সতর্ক হতে বললেন গবেষকরা

উপকারের আশায় দুধ পানে যে কারণে সতর্ক হতে বললেন গবেষকরা

ঢাকাপ্রতিদিন স্বাস্থ্য ডেস্ক : দুধ খুবই উপকারী একটি পানীয়। যা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। এ জন্য অনেকেই প্রতিদিন দুধ পান করেন। আবার কেউ কেউ অনেক বেশি পরিমাণে দুধ পান করেন। এ সবই করা হয় মূলত উপকারের আশায়।

আর উপকারের আশায় এত বেশি পরিমাণে দুধ পান করে নিজের ক্ষতি করছেন কিনা, তা জানেন তো। নির্দিষ্ট করে বললে নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মিলি গরুর দুধ পান করেন তাদের ১২ শতাংশ পর্যন্ত হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দুধের চর্বিযুক্ত উপাদানে বর্ধিত ঝুঁকি রয়েছে। অর্থাৎ, স্ক্রিমড বা ফুল-ফ্যাট সংস্করণে কোনো পার্থক্য নেই। এ জন্য যারা পরিমিত বা কম পরিমাণ পান করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

নারী এবং দুগ্ধজাত বিষয়: সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মনে করেন, হার্টের ঝুঁকির পেছনে ল্যাকটোজ, দুধে থাকা চিনি দায়ী। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে হার্টে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর এই প্রভাব নারীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কারণ, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ল্যাকটোজ হজম করে।

বিএমসি মেডিসিনে প্রকাশিত সমীক্ষাটি ৩৩ বছর ধরে এক লাখ মানুষের মধ্যে চালানো হয়েছে। যেখানে ৬০ হাজার নারী ও ৪০ হাজার পুরুষ ছিলেন। এদের মধ্যে খাদ্য ও জীবনধারা সম্পর্কিত বিষয় আলাদা করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, দৈনিক বেশি পরিমাণ দুধ পান করা হার্ট ফেইলিওর, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

গবেষণা কী বলে: গবেষণায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, নারীরা যত বেশি দুধ পান করেন, তাদের হার্টের ঝুঁকি তত বেশি হয়। বলা যেতে পারে, একজন নারী ৬০০ মিলি দুধ পান করলে ১২ শতাংশ ঝুঁকি বৃদ্ধ পায় তার। আর ৮০০ মিলি দুধ পান করলে তা ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কফি শপ থেকে বড় বড় ল্যাটেস ও ক্যাপাচিনোতে প্রায় ৫৬০ মিলি দুধ থাকে, যা চিন্তার বিষয়। এ কারণে গবেষকরা ঝুঁকি কমানোর জন্য নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া : সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা দৈনিক ৩০০ মিলির বেশি দুধ পান করেন, তাদের পুরুষের তুলনায় ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি বেশি থাকে। যা নির্ভর করে দুধের ধরন যেমন, পুরো দুধ, মাঝারি চর্বি বা স্কিমড কিনা। গবেষকরা এ ধরনের ঝুঁকি এড়াতে দইয়ের মতো গাঁজানো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

OR

Scroll to Top