হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে

হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫০

বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয়েছে মডেল ও উদ্যোক্তা মেঘনা আলমকে। পুলিশ দাবি করছে, আলোচিত এ মডেল বিভিন্ন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রথমে সখ্যতা গড়তেন, এরপর তাদেরকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তারা বলছে, তার মূল টার্গেট ছিলো বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানান, একজন নারী তার কাছ থেকে ‘আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য’ সম্পর্ককে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবহিত করে। সেখানে বিষয়টি তদারক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারী। তার নির্দেশে ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয় খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব। এরই মধ্যে ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের কিছু আগে মেঘনা ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে কিছু লোক’ তার বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন। পরদিন ১০ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন। মেঘনাকে গ্রেফতারের পর তার সহযোগী দেওয়ান সমীরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মেঘনা ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টা করছিলেন। তিনি আরও কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের অনেকে এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের পরিচয় হয়েছিল আট মাস আগে। সেই পরিচয়েই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সখ্য। মেঘনার পরিবারের দাবি, পরিচয়ের মাত্র চার মাস পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে গোপনে বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তারা।

মেঘনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তারা তিন দশক আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসেন। মেঘনা ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে তিনি ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। মডেলিং ছাড়াও উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সারাবাংলা/এজেডএস

ব্ল্যাকমেইল
মেঘনা আলম

OR

Scroll to Top