ঢাকাপ্রতিদিন স্বাস্থ্য ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রোববার বর্ণাঢ্য র্যালি, বৈজ্ঞানিক সেশন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘আন্তজার্তিক শিশু ক্যান্সার দিবস-২০২৫’ পালিত হয়েছে।
এবারের আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিল বিএসএমএমইউ থেকে চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা শতাধিক ক্যান্সার বিজয়ী শিশু। এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে যাওয়া প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএসএমএমইউ’র শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে বের হওয়া র্যালির উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। এসময় তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিশুদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (বিএমটি) চালুর ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসন থেকে সহায়তা প্রদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম লিউকেমিয়া চিকিৎসার এডভান্সমেন্ট নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি উন্নত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসার একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। আর্লি স্টেজে এবং নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে আমাদের দেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়েই আরও সারভাইভার বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক সেশনে জানানো হয়, শিশুরাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, এটি কোন নতুন রোগ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শিশু ক্যান্সার বা চাইল্ডহুড ক্যান্সার বলতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া বোঝায়। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় তিন লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ‘চাইল্ডহুড ক্যান্সারঃ এ সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস এন্ড চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে প্রতি বছর ৯-১২ হাজার শিশু কিশোর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী শামসুল হক কিবরিয়া, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোমেনা বেগম এবং শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর