স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৬
ক্রিকেটার আর আম্পায়ার- ওতপ্রোতভাবে জড়ানো দুটি পেশা। একটি ছাড়া অন্যটি অচল। অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে প্রচলিত আছে, আম্পায়ারিংয়ে টাকা নেই। যেটা ক্ষেত্র বিশেষে সত্যও। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আম্পায়ার-স্কোরাররা এতদিন উপেক্ষিতই ছিলেন। বিসিবির অধীনে তাদের বেতন কাঠামো কিংবা বেতনের পরিমাণও বলছে সেই কথাই।
এই ব্যাপার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করার কথা জানিয়েছিল বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি। অবশেষে গত ২৫ জানুয়ারি বিসিবির ১৭তম বোর্ড সভার পর সিদ্ধান্ত আসে, স্থানীয় আম্প্যায়ার, ম্যাচ রেফারি ও স্কোরারদের বেতন বাড়ানোর, গঠিত হয়েছে নতুন বেতন কাঠামোও। সেই সভায় বিসিবির চুক্তিভূক্ত ৩৩ জন স্থানীয় আম্পায়ারের বেতন কাঠামোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আম্পায়ার্স কমিটি তাদের ভাগ করেছে ভিন্ন আটটি ক্যাটাগরিতে। এক বছরের চুক্তিতে স্কোরার, আম্পায়ারদের নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হয়েছে গত ০১ জানুয়ারি থেকে। এর সাথে বিসিবির নিয়মানুযায়ী বছরে দুইটি করে বোনাস পাবেন কাঠামোর অধিভুক্ত সবাই। এছাড়া প্রথমবারের মতো বেতনের আওতায় আনা হয়েছে বিসিবির আটজন স্কোরারকে।
বিসিবির নতুন বেতন কাঠামোর ‘এ+’ গ্রেডে আছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, তার মাসিক বেতন ২ লাখ টাকা। আগে এই আম্পায়ার বেতন পেতেন ৬৫ হাজার করে। ‘এ’ গ্রেডে আছেন আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের চার আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল, গাজী আশরাফ সোহেল, তানভীর আহমেদ ও মোর্শেদ আলী খান।
তাদের বেতন অবশ্য এক হারে বাড়েনি। মুকুল আগে পেতেন মাসিক ৫৫ হাজার টাকা, নতুন কাঠামোতে তার বেতন ১ লাখ টাকা। এতদিন ৪৬ হাজার টাকা করে বেতন পাওয়া সোহেল ও তানভীরের বেতন বেড়ে হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। মোর্শেদ বেতিন পাবেন মাসিক ৭০ হাজার টাকা করে।
‘বি’ গ্রেডে আছেন বিসিবির এলিট প্যানেলের চার আম্পায়ার। ব্যক্তিভেদে তাদের বেতন হবে ৪৫ থেকে ৫৫ হাজারের মাধ্যে। ‘সি’ গ্রেডের আম্পায়ারদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। এই ক্যাটাগরিতে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেল, ইমার্জিং প্যানেল ও প্রথম শ্রেণির আম্পায়াররা বেতন পাবেন ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে।
‘বি’ গ্রেড ক্যাটাগরিতে আছেন বিসিবির এলিট প্যানেলের চার আম্পায়ার। তারা ৪৫ থেকে ৫৫ হাজারের মধ্যে বেতন পাবেন। ‘সি গ্রেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা আইসিসি ডেভেলপমেন্ট প্যানেল, ইমার্জিং প্যানেল ও প্রথম শ্রেণি প্যানেলের আম্পায়াররা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মাসে ২৫ থেকে ৩৫ হাজারের মধ্যে বেতন পাবেন।
‘সি’ গ্রেডে মোট ১৯ জন আম্পায়ার, এর মধ্যে চারজন নারী। আঞ্চলিক প্যানেলের পাঁচজন আম্পায়ারের বেতন বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হয়েছে। আগে তারা ১৫ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে বেতন পেতেন।
ম্যাচ রেফারিদের মধ্যে ‘এ’ গ্রেডে রাখা হয়েছে রকিবুল হাসান, নিয়ামুর রশিদ রাহুল ও আখতার আহমেদকে। এই তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন পাবেন রকিবুল। ১ লাখ ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার হয়েছে তার বেতন। বাকি দুজনের বেতন ৫৫ হাজার থেকে বেড়েছে ১ লাখে। ‘বি’ গ্রেডের এক মাত্র সদস্য নারী ম্যাচ রেফারি সুপ্রিয়া রাণী দাস, মাসিক বেতন ৪৫ হাজার টাকা।
স্কোরারদের বেতন বেড়েছে পাঁচ হাজার টাকা। আট স্কোরার আগে বেতন পেতেন ১৫ হাজার টাকা করে।
সারাবাংলা/জেটি
আইসিসি এলিট আম্পায়ার
আম্পায়ার
বিসিবি
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত